ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌর কাউন্সিলর রেজাউলের হামলাকারি কফিলের অবস্থাও সংকটাপন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: চকরিয়া পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিমের উপর হামলাসহ দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন, কথিত হামলাকারি কফিলউদ্দিনের মা গোল চেহের। তিনি সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ করে বলেছেণ, তার পুত্র বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে মূমুর্ষ অবস্থায় জীবন-মৃত্যূর সন্ধিক্ষণে দিনপার করছে।

তিনি দাবী করেন- প্রত্যেকেরই আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার রয়েছে। কাউন্সিলর রেজাউল করিম ও তার বাহিনীর লোকজনের আক্রমন থেকে বাচতে তার ছেলে কফিলউদ্দিন আত্মরক্ষামূলক ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগকালে রেজাউল করিম আহত হয়েছে। বিপরীতে রেজাউল বাহিনীর নির্মম হামলা ও প্রহারে তার ছেলে কফিল উদ্দিন মূমুর্ষ অবস্থায় দিন পার করছে। তার অবস্থা বর্তমানে খুবই সংকটাপন্ন দাবী করে তিনি তার পুত্র কফিল উদ্দিনের সু-চিকিৎসার দাবী করেন।

গতকাল রবিবার চকরিয়া স্থানীয় রেস্টুন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবী করেন কফিলের মা গোল চেহের। এ সময় কফিলউদ্দিনের মা গোল চেহের এর সাথে উপস্থিত ছিলেন তার পিতা বাদশা কন্ট্রক্টর। সংবাদ সম্মেলনে গোল চেহের আরও বলেন- ঘটনার পর এলাকায় পুরো পরিবার এখন নিরাপত্তাহীন। ইতোপূর্বে কাউন্সিলর রেজাউল করিম কফিলউদ্দিনসহ পুরো পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানিসহ নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে।

ঘটনারদিনও অনিয়ম করে ড্রেন নির্মাণের প্রতিবাদ করলে রেজাউল করিম ও তার বাহিনী কফিলউদ্দিন, তার পিতা বাদশা কন্ট্রাক্টরকে বেদম প্রহার করে। কিন্তু আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকার প্রয়োগকালে আহত হয়েছে কাউন্সিলর রেজাউল। কিন্তু বিপরীতে রেজাউল বাহিনীর বেদম ও নির্দয় প্রহারে আহত হয়ে কফিলউদ্দিন বর্তমানে জীবন-মৃত্যূর সন্ধিক্ষনে দিনপার করছে।

কফিলউদ্দিনের মা গোলচেহের দাবী করেন, তার পুত্র বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে উন্নত চিকিৎসার অভাবে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। তাই কফিলকে উন্নত চিকিৎসার দেওয়ার দাবী করেন তিনি। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: হাবিবুর রহমান জানান, চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা শেষ করে রবিবার (১৯ জুলাই) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কফিল উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

পাঠকের মতামত: